হুমকীতে বেড়িবাধ
নিউজডেস্কঃ
এবার পটুয়াখালীর মহিপুরে শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঐতিহ্যবাহি খাপড়াভাঙ্গা নদীর তীর অবৈধভাবে খনন করে মাটি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে হুমকীতে পরেছে নদীর তীর সংলগ্ন বেড়িবাধসহ বসবাসরত জনসাধারণ। অভিযোগ আছে, নদীর তীর কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার। তবে এসব অবৈধ নদী খননকারীদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেযার আশ^াস দিলেন স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীরে দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর। প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার এই নদী দিয়ে সাগরে আসা যাওয়া করে। একই সাথে নদীর পাড়ের বেড়িবাধটি এ অঞ্চলের মানুষদের ঝড় জঞ্জাট থেকে রক্ষার জন্য আশির্বাদ স্বরুপ।
কিন্তু সেই নদীটি স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী মহল যে যার মত করে যত্রতত্র মাটি কাটা শুরু করেছে। যেমন খাপড়াভাঙ্গা নদীর মাইটভাঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় নদীর তীর খনন করে মাটি কেটে তা পাচ কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটা বেড়িবাধের উপর ফেলছে মহিপুর থানা শ্রমিকরীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে মাটি কাটায় স্থানীয়রা বাধা দিতেও সাহস পাননি। এতে হুমকীতে পরেছে ওই নদীর পাড়ের বেড়িবাধটি। স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, জোয়ার কিংবা আমাবশ্যা ববা পূর্নিমার জো আসলেই খননকৃত অংশ দিয়ে বেড়িবাধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। তখন বেড়িবাধের আশপাশে বসবাসরতদের হুমকীতে থাকতে হবে বলে তাদের আশংকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর তীরে মাটি কেটে বড় কুয়ার মত করা হয়েছে। কেঠে ফেলা হয়েছে সেখানকার বনবিভাগের বেশকিছু গাছও। এর কিছুদূরে একই নদীর আরেক অংশের তীর খনন করে ইটভাটায় মাটি ভরাট করছেন আরেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ইউসুফ ফরাজি। ভেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে নদীর তীর কেটে ইটভাটার মধ্যে ফেলা হচ্ছে নির্বিঘেœ। অভিযোগ আছে টাকা না দিয়ে স্থানীয়দের জমির মাটি কাটারও।
মাটি কাটার বিষয়টি জানা আছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। তাৎক্ষনিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিলেন লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি জানান, মাটি কাটার খবর পেয়ে আমি তাদেরকে নিষেধ করিছি কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। যেকারণে তাৎক্ষনিকভাবে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে জানিয়েছি।
তবে বির্ক্রি অভিযোগ অস্বীকার করে নদীর তীর থেকে মাটি কেটে কুয়াকাটা বেড়িবাধে নেয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করলেন অভিযুক্ত মহিপুর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেন। তিনি জানান, স্ব-মিলের মালিক আমাকে এখান থেকে মাটি কাটতে বলেছে তাই কেটেছি।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার বাস্তবে রুপ দিতে দ্রæত সময়ে নদীর তীর অবৈধ খণনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ মুনিবুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনা শুনে আমি মাটি কাটতে নিষেধ করিছি এবং মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু সেখানে রাখতে বলিছি। ওই ভেকু পাহারার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দুইজন চৌকিদার দিয়ে পাহারার ব্যবস্থাও করিছি। এছাড়াও ওই নদীর পাড় থেকে অন্য যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
