ডেক্স রিপোর্ট
পটুয়াখালী জেলার পশ্চিম হেতালিয়া আবাসনে গত ২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা হাডুডু। আয়োজন করে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ইয়ুথ পাওয়ার, পটুয়াখালী”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট রেজাউল করিম, এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে এম জাহিদ হোসেন। এছাড়াও সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত থেকে খেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
একসময় গ্রামীণ জনপদে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল হাডুডু। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে এই খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মকে গ্রামীণ খেলাধুলার সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়।
খেলায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় তরুণরা। মাঠজুড়ে ছিল দর্শকদের ভিড়, করতালি এবং উচ্ছ্বাস। প্রতিটি ধাপে খেলোয়াড়দের কৌশল, দৌড়ঝাঁপ এবং মনোবল পুরো পরিবেশকে উজ্জীবিত করে তোলে।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
স্থানীয়দের ভাবনা:
স্থানীয়রা এই আয়োজনকে অত্যন্ত উৎসাহজনক মনে করেছেন। তারা বলেন—
“আমরা চাই এই ধরনের গ্রামীণ খেলা নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হোক। এতে তরুণরা মাদক থেকে দূরে থাকবে, সুস্থ বিনোদন পাবে এবং হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে আসবে।”
“এ ধরনের খেলা আমাদের গ্রামকে জীবন্ত রাখে। তরুণরা মাঠে দৌড়াবে, খেলবে এবং গ্রামের ঐতিহ্য জানতে পারবে। এটি শুধু খেলা নয়, এটি আমাদের শিকড়ের সাথে সংযোগ।”
“এই আয়োজন আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা চাই সরকার ও সমাজের অন্যান্য অংশও এই ধরনের অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করবে।”
আয়োজকদের ভাষ্যমতে—
“আমাদের মূল লক্ষ্য হলো হারানো ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে ফিরিয়ে আনা। তরুণরা মাঠে খেলুক, সুস্থ থাকুক এবং শিকড়ের সাথে যুক্ত থাকুক।”
সভাপতি কে এম জাহিদ হোসেন বলেন—
“এই আয়োজন আমাদের জন্য শুধু একটি খেলা নয়। এটি আমাদের গ্রামের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের কণ্ঠ। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন এই খেলার আনন্দ ও কৌশল শিখে, মাঠে দৌড়াতে পারে এবং একই সঙ্গে সুস্থ, সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারে।”
প্রধান অতিথি এডভোকেট রেজাউল করিম বলেন—
“এই ধরনের আয়োজন গ্রামীণ সংস্কৃতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরুণরা খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ, সক্রিয় এবং সমাজমুখী হবে। আমরা আশা করি, হাডুডুর মতো খেলা নিয়মিতভাবে復ত হবে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাবে।”
