ডেক্স রিপোর্ট
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ (সদর মির্জাগঞ্জ দুমকী) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ডাক পেলেন চার নেতা। এরা হলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সরকারী পিপি এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক পৌর মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু, জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংষু সরকার কুট্টি এবং কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটনকে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশার কারণ জানতে চাওয়ার পিছনে তারেক রহমানের ৩১দফা আর নতুন ও তরুন নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে অনেকে মূল্যয়ন করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বাছাই কমিটির সামনে স্ব শরীরে উপস্থিত হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু।
এসময় কমিটির সদস্যগণ মজিবুর রহমান টোটনকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন আপনি মনোনয়ন চান? এর উত্তরে মজিবুর রহমান টোটন তাদেরকে জানান, তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়ন, তৃনমূল নেতাকর্মীদের একত্রিকরণ, বিগত ২০ বছর যাবৎ কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা নিয়ে বিগত সরকারের সাথে মোকাবেলা করা, তাদের জামিনসহ মামলা থেকে অব্যাহতিসহ সাধারণ মানুষের দোড় গড়ায় তারেক রহমানের বার্তা পৌছে দেয়া ছিল আমার প্রতিদিনের কাজ। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আমি নিজেও একাধিক মিথ্যা মামলায়ে বছরের পর বছর জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি, বাসা বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছে আমার গোটা পরিবার। এতকিছুর পরেও এক মুহুর্তের জন্য আমি দলীয় নেতাকর্মীদের একা রেখে এই শহর ছেড়ে যাইনি। বিএনপির ইতিহাসে স্মরণকালের নিচ্ছিদ্দ নিরাপত্তা বলয়ে সম্পূর্ন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কাউন্সিলে দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী করেছে-যেটি ছিল বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম এবং স্মরণীয়। এমনকি সেই ভোটের ব্যালট পেপার গননার প্রক্রিয়াটি সরাসরি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল। যেটি তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ^াস করে সেটি আমরা আমাদের কাউন্সিলেও প্রকাশ করেছি। মজিবুর রহমান জানান, এসবের পাশাপাশি আমি দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমও পরিচালনা করে আসছি। গরীপ অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গেছি। সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমার বিশ^াস আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পটুয়াখালী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো এবং অবহেলিত পটুয়াখালী-১ আসনের উন্নয়ন করতে সক্ষম হব।
এদিকে জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, গুলশান বিএনপির কার্যালয়ে মনোনয়নের জন্য পটুয়াখালী-১ আসন থেকে অপর যে তিনজন ডাক পেয়েছেন তারাও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্বাক্ষাত করেছেন।
তবে মজিবুর রহমান টোটনের ডাক পাওয়ার সাথে তারেক রহমানের নতুন ও তরুন নেতৃত্বের ঘোষনার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখছে সাধারণ নেতাকর্মীরা।
#
