ঢাকাSaturday , 23 August 2025
  1. কলাপাড়া
  2. কুয়াকাটা
  3. গলাচিপা
  4. দশমিনা
  5. দুমকি
  6. প‌বিপ্রবি
  7. বাউফল
  8. মির্জাগঞ্জ
  9. রাঙ্গাবালী
  10. সদর
  11. সারাদেশ

সরকারি চাকুরির নামে প্রতারণা, প্রতারক আটক

adminptk112233
August 23, 2025 12:56 pm
Link Copied!


মহসিন হোসেন জয়

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নেছার আহম্মেদ (৪৮) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে পৌরসভার হাইস্কুল রোডের হোটেল আল মামুনের ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক নেছারের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। এক বছর আগে বাংলাদেশ এসেছেন এবং বরিশাল রুপাতলী এলাকায় থাকতেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর খালা মাহমুদা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকার গৃহবধূ মাহমুদা বেগমের (৪৫) বোনের মেয়ে সাথী আক্তারকে (২৩) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন নেছার আহমেদ। প্রথমে ১৪ মে চাকরির আশ্বাস দিয়ে পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ এক লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে ২৯ জুন বাদীর বাসায় গিয়ে দুই লক্ষ টাকা নেন। একপর্যায়ে আরও চার লাখ টাকা দাবি করলে বাদী চাকরি পাওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু নেছার আহম্মেদ রাজি না হলে মাহামুদা বেগম ৩ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এবং উল্টো গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সবশেষে গত ২০ আগস্ট দুপুরে নেছার আহম্মেদ আবারও যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগী টাকা দিতে রাজি হন এবং তাকে টাকা নিতে গলাচিপা আসতে বলেন। নেছার আহমেদ ২০ আগস্ট গলাচিপা আসেন এবং হোটেল আল মামুনে ওঠেন। পরেরদিন ২১ আগস্ট হোটেল আল মামুনে ভুক্তভোগীকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এসময় ভুক্তভোগী কৌশলে সেনা বাহিনীকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে গলাচিপা থানায় সোপর্দ করেন।

বাদী মাহমুদা বেগম বলেন, এপ্রিল মাসে পটুয়াখালী আদালত চত্বরে চায়ের দোকানে নেছারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। তিনি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নেন। পরে আরও টাকা দাবি করেন। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আমি টাকা ফেরত চাই। কিন্তু তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমরা সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারিনি তিনি প্রতারক।

তবে অভিযুক্ত নেছার উদ্দিন দাবি করেন তিনি প্রতারণা করেন নাই। তিনি বলেন, মাহামুদা ৩ লক্ষ টাকা নয় তাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে যাতায়াত খরচ।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান বলেন, সরকারি চাকরির নামে প্রতারণার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে


এমএইচ জয়

সরকারি চাকরির নামে প্রতারণা, আটক প্রতারক

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নেছার আহম্মেদ (৪৮) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে পৌরসভার হাইস্কুল রোডের হোটেল আল মামুনের ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক নেছারের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। এক বছর আগে বাংলাদেশ এসেছেন এবং বরিশাল রুপাতলী এলাকায় থাকতেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর খালা মাহমুদা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকার গৃহবধূ মাহমুদা বেগমের (৪৫) বোনের মেয়ে সাথী আক্তারকে (২৩) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন নেছার আহমেদ। প্রথমে ১৪ মে চাকরির আশ্বাস দিয়ে পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ এক লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে ২৯ জুন বাদীর বাসায় গিয়ে দুই লক্ষ টাকা নেন। একপর্যায়ে আরও চার লাখ টাকা দাবি করলে বাদী চাকরি পাওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু নেছার আহম্মেদ রাজি না হলে মাহামুদা বেগম ৩ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এবং উল্টো গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সবশেষে গত ২০ আগস্ট দুপুরে নেছার আহম্মেদ আবারও যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগী টাকা দিতে রাজি হন এবং তাকে টাকা নিতে গলাচিপা আসতে বলেন। নেছার আহমেদ ২০ আগস্ট গলাচিপা আসেন এবং হোটেল আল মামুনে ওঠেন। পরেরদিন ২১ আগস্ট হোটেল আল মামুনে ভুক্তভোগীকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এসময় ভুক্তভোগী কৌশলে সেনা বাহিনীকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে গলাচিপা থানায় সোপর্দ করেন।

বাদী মাহমুদা বেগম বলেন, এপ্রিল মাসে পটুয়াখালী আদালত চত্বরে চায়ের দোকানে নেছারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। তিনি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নেন। পরে আরও টাকা দাবি করেন। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আমি টাকা ফেরত চাই। কিন্তু তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমরা সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারিনি তিনি প্রতারক।

তবে অভিযুক্ত নেছার উদ্দিন দাবি করেন তিনি প্রতারণা করেন নাই। তিনি বলেন, মাহামুদা ৩ লক্ষ টাকা নয় তাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে যাতায়াত খরচ।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান বলেন, সরকারি চাকরির নামে প্রতারণার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।