নিউজডেস্কঃ
পটুয়াখালী জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাগড়কুলবর্তি রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের আশপাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিকরা মানববন্ধন, সমাবেশ ও ধর্মঘট করেছেন। বুধবার ভাঙ্গনের শিকার নদীর পাশে পরিত্যক্ত সাইক্লোন শেল্টারের পাশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্বে সুরক্ষিত পরিবেশ ও জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের জন্য “ক্লাইমেট ইমারজেন্সি” ঘোষণার দাবি করেছেন শিশু ও তরুণরা।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর সহযোগিতা এবং পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে জলবায়ু অবরোধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম এঁর সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খালিদ বিন ওয়ালিদ তালুকদার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান, মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য লিপি আক্তার, পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম এঁর গলাচিপা উপশাখা দলনেতা তাওদীহ ইসলাম তামিম এবং স্থানীয় গণ্যনান্য স্বপন হাওলাদার প্রমুখ। এসময় ধর্মঘটে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বৈশ্বিক ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও ঝুকি নিঃসরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও জলবায়ু অনুদান লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লাাকার্ড দেখা যায়।
এ সময় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর জন্য এক মহা বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু সংকট উত্তরণে প্রয়োজন দূষণকারী দেশগুলোর থেকে প্রাপ্ত ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা। এই পৃথিবী আমাদের। তাই এই পৃথিবী রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। সেই দায়িত্ব থেকেই আজকে বিশ্ব স¤প্রদায়ের কাছে আমাদের দাবী তুলে ধরতে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে যে সব সংকট তৈরি হচ্ছে, এর জন্য সমাজে আরও বেশি অসমতা সৃষ্টি হবে। এই অসমতা দূর করতে এবং জলবায়ূ সংকট মোকাবিলা করতে জোরালো দাবি তোলা প্রয়োজন যা বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে উঠে আসছে।
এছাড়াও চালিতাবুনিয়া নদী ভাঙ্গন এলাকায় টেকসই বাধ নির্মাণ ও ক্ষতি গ্রস্তদের পূর্নবাসনে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্যেও দাবী জানানো হয়।
